আজ ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গতকাল ইতিহাসের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়

মেহেদী হাসান (স্টাফ)

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল শনিবার ২২এপ্রিল।

  • সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই ঈদ-উল- ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শোলাকিয়া ময়দানের ১৯৬তম ঈদুল ফিতরের নামাজে অংশগ্রহণ করেন লাখ লাখ মুসল্লি।
    এতে ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। জামাত শুরু হবার আগে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। দেশ-বিদেশের ৪ লাখেরও বেশি মানুষ এ ময়দানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করছেন।
    শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ে দুই দিন ধরেই গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪টি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জে লোক আসতে শুরু করে। অনেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাসায়, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে এবং ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাতযাপন করেন।
    ভোররাতে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও হেঁটে দলের দলে মানুষ আসেন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে । সবার গন্তব্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের জামাত। সকাল সাড়ে ৮টার আগেই ঈদের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ১০টায় নামাজ শুরু হলে শোলাকিয়া মাঠে উপচেপড়া ভিড়ের কারণে মুসুল্লীদেরকে আশপাশের রাস্তা-ঘাট, বাড়ির ছাদ, নরসুন্দা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে জামাতে অংশ নিতে দেখা গেছে।
    ঈদগাহ ময়দানের রেওয়াজ অনুযায়ী নামাজ শুরুর ১৫ মিনিট আগে পরপর তিনবার শটগানের গুলি ছুঁড়ে মুসল্লিদের নামাজে দাঁড়ানোর সংকেত দেওয়া হয়।
    নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দো’আ করা হয়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যড.জিল্ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ বিশিষ্টজনেরা এ মাঠে নামাজ আদায় করেন।
    এদিকে, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করে। একটি ট্রেন ভৈরব থেকে ভোর ছয়টায় ছেড়ে সকাল আটটায় কয়েক হাজার যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জ স্টেশনে আসে। অন্যটি ভোর পৌনে ছয়টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে সকাল সাড়ে আটটায় কিশোরগঞ্জে পৌঁছে।
    ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার পর থেকে শোলাকিয়া ময়দানে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ঈদ জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের এ বছর চার স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়।
    সারাদেশ কিশোরগঞ্জ সদর লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত
    কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে স্মরণকালের সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ঈদুল ফিতরের জামাত।
    এতে ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। জামাত শুরু হবার আগে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেনঃ “এবার আমরা মুসুল্লীদের সর্বোচ্চ নিরপত্তা ও সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”
    শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ে দুই দিন ধরেই গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪টি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জে লোক আসতে শুরু করে। অনেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাসায়, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে এবং ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাতযাপন করেন।
    ভোররাতে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও পায়ে হেঁটে দলের দলে মুসুল্লীরা ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে আসে। সকাল সাড়ে ৮টার আগেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ১০টায় নামাজ শুরু হলে লক্ষ্য করা যায় শোলাকিয়া মাঠের উপচেপড়া ভিড়। এ কারণে আশপাশের রাস্তা-ঘাট, বাড়ির ছাদ, নরসুন্দা নদীর পাড়ে মুসল্লিরা নামাজের কাতার করে দাঁড়াতে হয়। শলাকিয়া
    ঈদগাহ ময়দানের রেওয়াজ অনুযায়ী নামাজ শুরুর ১৫ মিনিট আগে পরপর তিনবার শটগানের গুলি ছুঁড়ে মুসল্লিদের নামাজে দাঁড়ানোর সংকেত দেওয়া হয়।
    নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
    কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড. জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ বিশিষ্টজনরা এ মাঠে নামাজ আদায় করেন।
    এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করে। একটি ট্রেন ভৈরব থেকে ভোর ছয়টায় ছেড়ে সকাল ৮ঘটিকায় কয়েক হাজার যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জ স্টেশনে আসে। অন্যটি ভোর পৌনে ছয়টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে সকাল সাড়ে আটটায় কিশোরগঞ্জে পৌঁছে। ট্রেন দু’টি দুপুর ১২টায় আগত মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব ও ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
    ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার পর থেকে শোলাকিয়া ময়দানে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ঈদ জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তায় এ বছর চার স্তরে কাজ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠ ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ৬টি টাওয়ার স্থাপন করা হয়। এবারের ঈদের জামাতে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া আর কিছুই সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারেনি মুসল্লিরা।
    ফায়ার সার্ভিসসহ ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে প্রস্তুত ছিল মেডিকেল টিম। ছিল পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তায় বোমা শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণের একটি দল ঢাকা হতে আসে শোলাকিয়া মাঠে। এছাড়া মাঠের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ প্লাটুন বিজিবি সদস্যের উপস্থিতি ছিল পুরো এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category